একটি শিক্ষনীয় গল্প

একটি শিক্ষনীয় গল্প

বিশাল এক পাহাড়ের উপরে এক ঈগল বাসা বানিয়েছিলো। ঈগলের বাসায় ছিলো তার চার চারটি ডিম। প্রতিদিন সকালে সে এগুলো রেখে খাবারের খোঁজে উড়ে যেত। একদিন ঈগল যখন বাসার বাইরে ছিলো তখন ভূমিকম্পে গোটা পাহাড় নড়ে উঠলো। এতে ঈগলের একটি ডিম বাসা থেকে ছিটকে পড়ে গেল। গড়াতে গড়াতে সেই ডিম এসে পড়লো পাহাড়ের নিচের এক মুরগীর বাসার উঠোনে । মুরগী সেই ডিমটিকে নিজের বাসায় নিয়ে এলো। অন্যান্য ডিমের সাথে রাখলো। যত্ন করে তা দিতে থাকলো। একদিন সেই ডিম ফুটে ঈগলের একটি সুন্দর বাচ্চাও বের হলো। মুরগীর বাচ্চাদের সাথেই ঈগলের বাচ্চাটি বড় হয়ে উঠতে লাগলো। কিন্তু সে ভেতর থেকে যে সবসময় অন্য কিছু অনুভব করতো। আকাশে একদিন ঈগলের একটা ঝাঁককে উড়ে বেড়াতে দেখে সে মুরগীকে বলে ইস, যদি আমিও তাদের মত উড়ে বেড়াতে পারতাম। মুরগী হেসে উত্তর দিলো, তুমি কিভাবে উড়বে? তুমি তো মুরগী এবং মুরগী কখনো উড়ে না। ঈগল মাঝে মাঝেই তার স্বগোত্রীয়দের উড়ে বেড়াতে দেখতো এবং স্বপ্ন দেখতো সেও তাদের মতই উড়ে বেড়াবে। কিন্তু প্রতিবার সে তার স্বপ্নের কথা জানালে মুরগী বলতো যে এটা একেবারেই অসম্ভব। মুরগীর এই কথাটিই ঈগল বিশ্বাস করতে শিখলো এবং তার জীবনটা বাকী মুরগীদের মতই কাটিয়ে দিলো। অনেক দিন এভাবে কাটানোর পর একদিন সে মারাও গেল। আসলে আমাদের জীবনেও এটা চরমতম সত্য। তুমি যা বিশ্বাস করতে শেখো একদিন তুমি তাই হয়ে উঠবে। তাই তুমি যদি ঈগলের মত উড়ার স্বপ্ন দেখো, তবে সেই স্বপ্নকেই অনুসরন করো। মুরগীর কথায় কান দিতে যেও না।

মিথ্যা বলার ভয়াবহ পরিণাম, যেসব শাস্তির কথা বলছে ইসলাম

মিথ্যা বলার ভয়াবহ পরিণাম, যেসব শাস্তির কথা বলছে ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক: সত্যবাদিতা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেছেন, ‘হে ইমানদাররা! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সহযোগী হও।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১১৯)।

ইসলামি শরিয়তে মিথ্যা বলা সম্পূর্ণ নিষেধ। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা পরিহার করা ও সত্য বলার বিষয়ে অনেক বেশি সতর্ক করেছেন। একটি হাদিসে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা সত্যকে অবলম্বন করো। কারণ সত্যবাদিতা ভালো কাজে উপনীত করে। আর ভালো কাজ উপনীত করে জান্নাতে। মানুষ সত্য বলে ও সত্যবাদিতার অন্বেষায় থাকে। একপর্যায়ে সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে লিখিত হয়ে যায়। আর মিথ্যা থেকে দূরে থাকে। কারণ মিথ্যা উপনীত করে পাপাচারে। আর পাপাচার উপনীত করে জাহান্নামে। যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে ও মিথ্যার অন্বেষায় থাকে, এভাবে একসময় আল্লাহর কাছে সে চরম মিথ্যুক হিসেবে লিখিত হয়ে যায়’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬০৭)।

এ হাদিসে রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যকে অবলম্বন করার এবং মিথ্যা থেকে দূরে থাকার তাগিদ করেছেন। এ জন্য সত্য বলা ফরজ। মিথ্যা বলা হারাম।

যে কোনো চিন্তাশীল মানুষ উপলব্ধি করেন যে, সত্য বলা মানুষের একটি উৎকৃষ্ট গুণ; আর মিথ্যা বলা একটি নিকৃষ্ট বৈশিষ্ট্য। ভালো মানুষ কখনো মিথ্যা বলতে পারে না। একজন ভালো মানুষ সবসময় সত্য বলে। তো সত্য বলা ধর্মীয় দৃষ্টিতে যেমন ফরজ, তেমনি বুদ্ধির দিক থেকেও এক উত্তম ও অপরিহার্য মানবীয় বৈশিষ্ট্য। ভালো মানুষ হওয়ার জন্য সত্যবাদিতার কোনো বিকল্প নেই। ইসলাম যেহেতু ‘দ্বীনে ফিতরত’ তাই এখানে সত্যবাদিতার গুরুত্ব অপরিসীম। এমনকি ‘সত্যবাদিতা ইমানের শাখা’।

মিথ্যা একটি ব্যাধি। এর পরিণাম খুবই ভয়াবহ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিথ্যার পরিণাম সম্পর্কেও অনেক হাদিস বলেছেন। একটি হাদিসে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাকো, কারণ মিথ্যা ইমানের পরিপন্থী’ (আলমুসান্নাফ, ইবনে আবি শায়বা, হাদিস ২৬১১৫)।

আরো একটি হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিনের মধ্যে স্বভাবগত বিভিন্ন দোষত্রুটি থাকতে পারে। তবে সে মিথ্যুক ও প্রতারক হতে পারে না। (আলমুসান্নাফ, ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৩০৯৭৫)।

মিথ্যা ইসলামের দৃষ্টিতে অতি গর্হিত, অবশ্য-বর্জনীয়। মিথ্যাবাদিতা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ মিথ্যাবাদীর শাস্তির কথা উল্লেখ করে ইরশাদ করেছেন, ‘তাদের হৃদয়ে আছে একটি রোগ, আল্লাহ সে রোগ আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন, আর যে মিথ্যা তারা বলে তার বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ ওদের যখন বলা হয়, তোমরা পৃথিবীতে অনাচার করো না, তারা বলে, আমরা তো শান্তি স্থাপনকারী। জেনে রাখো, ওরাই অনাচার বিস্তারকারী, কিন্তু ওদের চেতনা নেই’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১০-১২)।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ আরো বলেছেন, ‘ইমানদাররা! আল্লাহকে ভয় করো আর সঠিক কথা বলো’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৭০)।

সুতরাং আমাদের সাবধান হতে হবে, সতর্ক হতে হবে। আমাদের কর্তব্য, সব প্রবণতার বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং নিজ আচরণ-উচ্চারণকে পবিত্র রাখা। আমরা যে কথাটি বলছি, তা সঠিক কিনা, ন্যায়সঙ্গত কিনা। সঠিক হলে বলব, না হলে বলব না। একজন মুমিন যদি এই চেষ্টায় থাকেন, সত্যবাদিতার অন্বেষায় থাকেন আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন, তাহলে আল্লাহপাক তাকে সত্যবাদিতার গুণ দান করবেন। আর যিনি তা লাভ করবেন, তিনি তো এক মহাসম্পদ লাভ করবেন। আল্লাহতাআলা আমাদের সকল প্রকার মিথ্যা ও তার ভয়াবহ পরিণাম থেকে বাঁচার ও সত্য বলার গুণ ও বৈশিষ্ট্য অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

সর্বকালের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসক

সর্বকালের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসক

১. কিন শি হুয়াং (শাসনকাল : ২৪৭-২১০ খ্রিস্টপূর্ব)

খ্রিষ্টপূর্ব ২২১ সালে তিনি একীভূত চীনের প্রথম সম্রাট হন এবং কিং রাজবংশের প্রথম সম্রাট হিসেবে রাজ্য শাসন করেন। এই শাসক কুখ্যাত পরিচিত পেয়েছিলেন তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী পন্ডিতদের হত্যার জন্য এবং তার সমালোচনামূলক সকল বই পোড়ানোর আদেশের জন্য। চীনের প্রাচীরের প্রথম পরিকল্পনাকারী তিনিই। সম্রাট রাজ্যের প্রতিটি সক্ষম পুরুষদের প্রাচীর নির্মাণে পাঠিয়েছিলেন। দেওয়াল উঠল ঠিকই-তবে অজস্র প্রাণের বিনিময়ে। নির্মাণশ্রমিকদের অনেকেই অধিক পরিশ্রম এবং অপর্যাপ্ত বিশ্রাম-আহারে মৃত্যুবরণ করে। একদিকে যেমন কল্যাণকর অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিলেন অন্যদিকে বেপরোয়া রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চালিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শেষ জীবনে অমরত্ব লাভের বড় সাধ ছিল সম্রাটের। সে জন্য সন্ধান করে বেরিয়েছেন অবিনশ্বর জীবনলাভে বিভিন্ন অলৌকিক ওষুধ। কথিত আছে, অমরত্ব লাভের আশায় পারদের তৈরি ভুল ওষুধ খেয়ে ৫০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তবে বেচেঁ থাকাকালীন সময়েই নিজের সমাধিসৌধ নির্মাণ ছিলেন তিনি। জমকালো আয়োজনের সমাধিসৌধটির মেঝেতে পারদের জলাশয়, ছাদে হিরে আর রুপোর নক্ষত্র আর ছয় হাজারেরও বেশি টেরাকোট সৈন্যর মূর্তি। এর নির্মাণশৈলী গোপন রাখতে শ্রমিকদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

২. ক্যালিগুলা (শাসনকাল : ৩৭-৪১ খ্রিষ্টাব্দ)

ক্যালিগুলা রোমান ইতিহাসের এক কলঙ্কিত নাম, অন্ধকার যুগের প্রতীক। রোমান সাম্রাজ্যের তৃতীয় রোমান সম্রাট ছিলেন তিনি। তার পুরো নাম গাইউস জুলিয়াস সিজার জারমানিকাস। ক্ষমতা পাওয়ার লোভে তিনি তরুণ বয়সে লিপ্ত হয়েছিলেন ষড়যন্ত্রে। সাম্রাজ্যের বৈধ উত্তরাধিকারী টাইবেরিয়াসকে তিনি কৌশলে হত্যা করিয়েছিলেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর শুরুতে তিনি তার সামাজ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ট্যাক্স উঠিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে উন্মাদের মতো হয়ে যান। অস্বাভাবিক আচরণ, অত্যাধিক খরচ, অত্যাচার, ধর্ষণ, খুনের জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠেন। ধনীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম রাজনৈতিক প্রতারণার অভিযোগ আনতে পারলেই সমস্ত সম্পত্তি জবরদখল করে সম্রাটের কোষাগারে নিয়ে নিতেন। তিনি মৌরিতানিয়ার রাজা টলেমিসহ তার উত্তরাধিকারী মার্ক অ্যান্টনিকে রোমে ডেকে এনে হত্যা করে সমস্ত সম্পত্তি জবরদখল করেন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মৃত্যুদণ্ড দিতেন এবং তাদের পরিবারকে বাধ্য করতেন সেই মৃত্যুদণ্ড দেখার জন্য। এছাড়া নিছক আনন্দের জন্য নির্বিচারে মানুষ খুন করতেন। নির্যাতনের দৃশ্য দেখে পুলকিত হতেন। একবার বিচারিক প্রাঙ্গণে হত্যা করার মতো আর কোনো অপরাধী ছিল না। ক্ষুধার্ত পশুরা গর্জন করছিল। ক্যালিগুলা সৈন্যদের নির্দেশ দিলেন দর্শকদের হিংস্র পশুদের খাঁচায় ঠেলে দিতে। বোনদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক ছিল এবং তাদের বাধ্য করতো অন্য পুরুষদের কাছেও নিজেদের সমার্পন করার জন্য। নিজে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তার ধর্ষণকামী স্বভাবের দরুন অন্যের বিবাহিত স্ত্রীদের সঙ্গে বিছানায় যেতেন। ক্যালিগুলা মাত্র চার বছর রোমান সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন। এই অল্প সময় শাসন করে তিনি স্বৈরাচারী, খুনি ও উন্মাদ সম্রাট হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।

রোমান সভ্যতায় মৃত সম্রাটদের মূর্তি তৈরি করে পুজা করা হতো। কিন্তু ক্যালিগুলা চাইতেন বেঁচে থেকেই লোকে তাকে পুজো করুক। এজন্য নিজেকে তিনি একসময় দেবতা হিসেবে ঘোষণা করেন। এ উপলক্ষে উপাসনালয় নির্মাণ করেন। উপাসনালয়ে নিজের মূর্তি স্থাপন করার নির্দেশ দেন। রোমান দেবতাদের পোশাক পরে ক্যালিগুলা জনগণের সামনে আসতেন। রোমান উপাসনালয়ে পুজার জন্য নিজের মূর্তি বসানোর নির্দেশ দেন। তার অস্বাভাবিক আচরণে ক্ষেপে উঠে রোমান সিনেটসহ সব শ্রেণীর জনগণ। ক্যালিগুলা তার ইনসিটাটাস নামক প্রিয় ঘোড়াকে নিজের পরামর্শদাতা নিয়োগ করেছিলেন। ৪১ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি প্রক্টোরিয়ান গার্ডের ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে বেশিরভাগ রোমান সিনেটরের সমর্থন ছিল। ক্যালিগুলাকে প্রায় তিরিশ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। ক্যালিগুলার দেহরক্ষী ছিল। কিন্তু তারা আসার আগেই উন্মাদ সম্রাট নিহত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৮ বছর। তার স্ত্রী এবং কন্যাকেও হত্যা করা হয়।

৩. আতিলা দ্য হান (শাসনকাল : ৪৩৪-৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দ)

ভাই খুন হওয়ার পর আতিলা দ্য হান হয়ে ওঠেন হুন জাতির শাসক। রোমান সাম্রাজ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর আক্রমনকারীদের একজন হয়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন পশ্চিম ও পূর্ব রোমান সাম্রাজের অন্যতম ভীতির কারণ। আতিলা একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী, অত্যন্ত নিপীড়ক শাসক ছিলেন। একজন সাহসী যোদ্ধা হিসেবেও তাকে দেখা হয় ইতিহাসে। এই দুর্ধর্ষ যোদ্ধার শাসনামলে হুনিক সাম্রাজ উরাল নদী হতে রাইন নদী এবং দানিউব নদী হতে বাল্টিক সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তিনি দানিউব নদী দুইবার পার হন এবং বলকান অঞ্চল লুট করেন, কিন্তু কন্সট্যান্টিনোপল দখল করতে ব্যর্থ হন। আতিলা রোমান গল (আধুনিক ফ্রান্স) জয় করারও চেষ্টা চালান। তিনি ৪৫১ খ্রিস্টাব্দে রাইন নদী পার হয়ে অরেলিয়ানাম (অরলিন্স) শহর পর্যন্ত মার্চ করে যান। এখানে কাতালোনিয়ান প্লেইন্স এর যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন। এর কিছুদিন পরই তিনি ইতালি আক্রমণ করেন এবং উত্তর প্রদেশসমূহে ধ্বংসযজ্ঞ চালান কিন্তু রোম দখল করতে অসমর্থ হন। রোমানদের বিরুদ্ধে তার আরো অভিযান চালানোর পরিকল্পনা ছিল কিন্তু তার আগেই ৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে আতিলা মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর ব্যাপারে শোনা যায়, আগে থেকেই আতিলার নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা ছিল, তার ওপরে বিয়ের দিন রাতে অতিরিক্ত খাওয়া আর মদ্য পান করে নিজের ওপর তাল হারিয়ে ফেলেন এবং পরদিন সকালে তার নিজের রক্তে ডুবন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

Buy Domestic Products

Buy Domestic Products

On the occasion of various festivals, our products are sold in the country. For example, Eid, Pooja, Pahela Baishakh etc. Since about 5 percent of the people in this country are Muslim, the sales during Eid are high. Business is a hundred bucks.

In addition, there are less sales throughout the year. The question is, how many domestic products did we buy in the market? Many people say that the quality of domestic products is not good. Has anyone thought, if we do not buy domestic products, how will the quality be good?

If the product manufactured in a factory is fairly good, then the factory owner will think how to increase the quality of the product. But if the product does not run in the market and the owner cannot pay his workers, how will he look at increasing the quality of the product?

You might say, 'I'm getting better quality products at this price. So why should I buy unmanaged products? 'Do you think that they are improving the quality of the product just because you are buying regular products from India and China?

Give an example. Many people know that the Japanese ballpark 'Red Leaf' was used in the country during the eighties. The price of this pen was 3 Taka. At this time some traders came forward, they were able to make the ballpen for 4-5 bucks. A bullpen econo and a rater worth Tk 5 spread across the country.

From then on, the Red Leaf slowly rose. Domestic companies occupied the market. At present, various domestic companies are producing quality pens. It is possible that we all bought the product that was produced in the country.

Last Eid-ul-Fitr reported in a newspaper that the owners of Bhairab's shoe factory could not pay workers; Because they do not have much sales during this Eid. We are celebrating Eid, but foreigners are making hundreds of billions. And our local businessmen are beating.

The paper was written to encourage entrepreneurs. If the product is not sold in the market, can the industry be saved by incentive?

In fact, we lack patriotism. Had it not been, the market for foreign goods would not have been successful. Why the people of a country that has been free for the exchange of three million martyrs will be ashamed to buy domestic products?

If we buy a domestic product, where does that money go? The first will be with the owner of our country. Then it will go to the workers. If the product is good, then any owner will increase the quality of the product it produces to increase its reputation.

And the quality of the products of Bangladesh is bad? What if we are second in the world in the export of garments made worse? Refrigerators made in our country are exported to many countries. Our medicines are exported to 5 countries of the world. If foreigners can use our products, why can't we?

So let's all introduce patriotism using domestic products. Patriotism is a part of Iman.

The newspaper industry in crisis

The newspaper industry in crisis

The principle of equality and balance is a universal principle. But the newspaper industry organization, Nawab, thinks the recently announced Ninth Wage Board notification did not reflect that. On the other hand, journalist organizations have claimed that Nawab's statement was unacceptable. A case is pending in the Supreme Court. The state has not yet responded to the rule issued by the High Court Division. Again, the Supreme Court of Appeals has set a hearing for the matter on October 25. However, the government rejected the sub-judicial rule. According to the Government Rules of Business, the Ministry of Labor will conduct the wage board activities. Why the information ministry did it, he has no authority.

On the whole, we feel that the opportunity to reach a more reasonable and conciliatory solution to wages has not been blocked. For this, the path of a meaningful and rationalization of the Wage Board is opened in a formal and informal way. Even if the parties involved are effectively involved in the hearing, it can be helpful to reach the desired goal.

Determination of wages involves the question of press freedom. Both the owner and the worker have equal interests in protecting the newspaper industry. So, in the current situation of the country, a sincere initiative is expected on how to achieve a 'win-win' situation. The immediate and immediate response to the imposed decision should be considered seamlessly.

Nawabs and journalist organizations have called for the upliftment of industry interests. Journalist organizations say that journalists-workers-employees think of the proprietors' organization as their own organization and always work. Nawab says, 'They are never against the wage board. Despite the many objections to that, we have also participated in the Wage Board activities. We have requested the wage board to be realistic for both the proprietors and journalists. ”The Nawab said that there should be a balance between the pay-scale and the multinational companies, as well as other industries in the country. They questioned, out of the 12 industries in the country, the salaries of eight industries were not even considered by the eighth wage board. Journalists are of the opinion that journalists' work styles and risks are different, so they are not compared to other industries. Despite such arguments by both parties, it has historically been an unpleasant fact that the declared wage boards have, in many cases, been paper-penned, not properly implemented. The state failed to ensure effective oversight and transparency.

 If a report is released about how much the wages and benefits of the past two wage boards have actually paid, then a dirty picture will come out. The Nawab says, 'Although some newspapers have trouble', the Wage Board seeks to implement. However, despite the limitations and inconsistencies, the current situation is different from what has been going on for so long. The shock on the print magazine online is ephemeral.

However, special provisions of income tax and gratuity have been made in line with the prevailing labor and income tax laws. But it has to be acknowledged that the newspaper industry is having a difficult time now. All magazine ad revenue and promotion numbers are constantly down. In addition, the government has not rationalized advertising rates, and even has a tendency to keep large bills at bay. On the other hand, the burden of VAT and taxes has been placed on the neck of the industry. In order to give special protection to print journalists, the state must bear its fair share. Despite the assurances from the responsible government of the government to increase the advertisement rate, repayment of arrears and reduce VAT-tax, it was not implemented. In such a case, a unilateral 3 to 5 percent pay increase notification has been issued. While a significant number of newspapers in the country cannot afford regular pay, subsidies; The state cannot avoid responsibility for the trauma of society and freedom of speech.

Use of the latest technology in the provision of nuclear security

Use of the latest technology in the provision of nuclear security

The government is fully aware of the suitability of the construction of nuclear power plants to address the growing electricity demand in Bangladesh and to progress the country's macroeconomic development. The government and its organizations, the Bangladesh Atomic Energy Commission, have given the utmost importance to nuclear safety in the choice of nuclear reactor technology. The present government has entered into an agreement with the Russian Federation to set up a nuclear power plant in Rupur, which has decided to install the latest version of the VVER type reactor family. Bangladesh has the freedom to customize its nuclear security features after picking up technology and determining power generation capabilities. That is, the government of Bangladesh has taken initiative to build the latest technology of VVER family in Rupur. The technology will include any of the latest nuclear safety features developed by the Russian Federation.

The Ruppur Nuclear Power Project is being taken forward by taking necessary actions in a proper manner, taking into account all domestic and international obligations and following international norms. In this regard, starting from human resource development to ensuring the safety of the reactor, maintaining the balance of the environment and related issues, the project work is being done with utmost importance. In order to implement the nuclear power program, a country needs to have a long-term national decision. Rupur nuclear power project can be ensured only if all the people involved in the implementation of the Rupur nuclear power project, the national level policy makers and professionals of all levels, the need for implementation of the project is undoubtedly established and the timely efforts to implement the project with integrity. The VVER type reactor built in Rupur will have the following five levels of safety features.

As a result, the reactor will be able to withstand any human-caused accidents and any natural disasters, such as strong cyclones, earthquakes, floods, etc. The following picture shows the various disasters caused by human and nature. The reactor built in Ruppur will be able to deal with these accidents and generate electricity.

Bangladesh's entry into the world of nuclear power

Bangladesh's entry into the world of nuclear power

Considering the growing power demand in the country, there is no alternative to ensuring electricity supply in order to improve the socio-economic life of the country. At present, the country's energy and power sectors are mainly dependent on gas. Natural gas and coal reserves are very limited in our country. As a result, Bangladesh has to rely heavily on import-dependent liquid petroleum for power generation. The use of natural gas as fuel is disrupting the production of petrochemicals, disrupting fertilizer production for agriculture and importing LP gas. There is a lot of foreign currency spending on oil and coal imports. Electricity generation is increasing, but the problem remains. Farming and the establishment of new industrial plants, above all, we need more and more electricity to improve the living conditions of the country. In view of these issues, the present government has taken effective steps for the development of energy and power sectors through the establishment of a suitable fuel-mix. By 2021, the country plans to produce 6 percent of the total power generation by setting up a nuclear power plant and work is underway to implement it. This is certainly one of the best efforts of the present government.

The initiative was taken to build a nuclear power plant in our country. For this purpose, the construction of 12 residential units, including land development, office, rest house and construction of electric sub-station, was completed partly by acquiring about 20 acres of land for the project area and 12 acres for residential area in Pabna district. After checking the many possibilities of implementation of the project, the related activities were stopped due to the inevitability of the project being approved by the then government in 1-3. After independence, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman took initiative to implement the project. 5-7 M. come. The feasibility study was completed by Sopartom, approved by the German economy for the approval of the nuclear power plant project (120 MW) by Eknech and the implementation of the joint venture. Another feasibility study was carried out in Germany, Switzerland, and Germany in 1-3. At the end of the 3 ্য initiative was initiated to start pre-preparatory activities for the construction of nuclear power plants. Despite the aforementioned initiatives to implement the project, it has not been implemented due to various restrictions and greater reliance on fossil fuels and due to lack of appropriate measures. The government took strong steps to implement the project in the first phase of the year and it was recommended to implement the Rupur Nuclear Power Project in the National Energy Policy. At a meeting chaired by the then Prime Minister of the then Government of the Government on October 5, the decision was taken to accelerate the implementation of the Rupur nuclear power project. In the light of the recommendations of the IAEA, a pre-implementation phase of the Rupur nuclear power project, especially for the preparation of site security reports and human resource development, was undertaken. Bangladesh Nuclear Power Action Plan was approved by the government in the 21st. The Government took the time to implement the "Vision-2021" - the highest priority for the energy and power sector development - to ensure 20,700 MW of power generation by 2021. In this connection, a consensus was signed between the Government of the People's Republic of Bangladesh and the Russian Federation on the 'peaceful use of nuclear power' on May 7, the signing of the Framework Agreement on May 28, and on November 12, each estimated power generation at Ruppur. Collaborating on setting up two nuclear power plants with two units The father is signing the contract. On January 7, a contract of $ 1 million was signed for State Export Credit to carry out the preparatory phase construction work of the Rupur nuclear power plant. As per the agreement stated, the technology provider company will supply the latest electric furnace of the VVER family with all the security features suitable for the Rupur project. The company is currently engaged in various preparatory work in the Ruppur project area.

The much-anticipated Rupur nuclear power plant will have a positive role in improving the quality of life of the people. The establishment of new industries will bring about radical change. Will make the wheel of the economy of the country more vibrant and stronger. Environment will help protect people from pollution.

Earth's use of nuclear power

Earth's use of nuclear power

At present, there are 4 nuclear power plants in 4 countries of the world. The amount of electricity generated from them is about 12 percent of the total electricity generated. Three more nuclear power plants are under construction in 4 countries. By 2021, 8 nuclear power plants are in the process of being set up in 20 countries. Of these, eight nuclear power plants will be built in the newly developed countries of the nuclear world, including Bangladesh.
It is to be noted that there are currently 25 nuclear power plants operating in neighboring India. In addition, five more are under construction and 20 nuclear reactors are under way. The country has set a target of generating 25 MW and 5 MW of nuclear power by 2021 and 202 respectively. China, on the other hand, currently has 3 nuclear power plants. In addition, 20 more are under construction. The country has set a target of generating 6 megawatts of nuclear power by 2021. Currently, Korea is the sixth country in the world to generate electricity using nuclear technology. Nuclear power is currently producing about 20 percent of the total electricity demand in the country, 25 nuclear reactors are in operation and 5 are under construction and by 2021, the country has set a target of producing nuclear power at 5 percent of the total demand. South Korea is a perfect example of how quickly an underdeveloped country (developed country) can be developed by using this technology properly. Due to geographical location, countries at risk of natural disasters such as Vietnam, Indonesia, Thailand and Malaysia have also confirmed the use of nuclear technology in electricity generation. The UAE, the oil-rich Middle East, plans to build three nuclear power plants by 2021 and has already begun construction of three. There are plans to build 3 nuclear power plants in Saudi Arabia within the next twenty years. Countries such as Nigeria and Kenya on the continent of Africa, Turkey in Europe, Belarus and Poland have taken steps to establish a nuclear power plant for the first time. The new generation of nuclear technology is quite advanced and safe, and through this technology, power generation is being considered as one of the major methods of energy security all over the world.

Nuclear Power: The Beginning

Nuclear Power: The Beginning

The production of electricity using nuclear technology began about half a century ago. More than thirty countries are using this technology to generate electricity. Considering the financial, technical and environmental benefits of nuclear technology in the production of electricity, the acceptance of this technology is well known today. In today's world, developing and underdeveloped states with densely populated and scarce energy resources have adopted nuclear power generation as one of the alternatives for generating electricity to ensure their socio-economic development. The main reasons for the continued dependence of nuclear technology on electricity generation are:

(1) Nuclear technology is the latest secure technology for power generation and a guaranteed sustainable source,

(2) it reduces the dependence on fuel energy imports,

(3) Nuclear technology is one of the ways in which electricity is supplied and improved, among various methods of generating electricity;

(4) The uncertainty of regular supply of oil / gas in the international energy supply market, and the availability of oil / gas reserves in countries with advanced energy consumption, are rapidly declining;

(5) uncertainty regarding the price of oil / gas in the international market,

(6) solving problems related to increasing global heights by reducing greenhouse gas emissions and

(7) Development of political situation in oil-gas exporter countries. With these considerations, the continent of Asia is going to become the focal point of the use of nuclear power technology in the future.